বিনোদন

আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়লেন রুম্মান ভাই-নাট্যনির্মাতা সিমান্ত সজল

Share this:

কয়েকদিন আগে মুক্তি পেয়েছে চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালিত সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’। এ সিনেমায় মুখ্যভিনেতা ছিলেন সিয়াম এবং পরীমণি।মুক্তির পরেই বেশ প্রংশসায় পঞ্চমুখ ছবিটি।এ ছবিটি হলে গিয়ে দেখে একান্ত নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নাট্যনির্মাতা সিমান্ত সজল।ডেইলি বাংলাদেশ টাইম এর পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

অনেক দিন ধরে “বিশ্বসুন্দরী” ছবিটি হলে গিয়ে দেখবো করে করে দেখা হয়ে উঠেনি। এরমধ্যে অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম মন্তব্য শুনেছি, ফেইসবুকে অনেকের রিভিউ পড়েছি। কিন্তু দুজন ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং নিজস্ব আগ্রহের কারণে আজ বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে ছবিটি দেখে এলাম। দুজন ব্যক্তির একজন স্বনামধন্য নাট্যকার ও আমার অনেক পছন্দের মানুষ রুম্মান রশীদ খান আরেকজন আমার অনেক প্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী দিদি।

চয়নিকা চৌধুরী দিদির ১ম চলচ্চিত্র নির্মাণ এছাড়া প্রিয় নাট্যকার রুম্মান রশীদ খান এর গল্প, কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য দেখে কিছু শেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখতে বসি। হলে ঢুকে সিটে বসে প্রথমেই আমি মোবাইল এবং ফেইসবুক বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে ছবিটি দেখা শুরু করি। বিরতিতে অনেকে বাইরে বের হলেও আমি বের হইনি। কারণ টুপ করে যদি আবার শুরু হয়ে যায়। তাহলে তো গল্পের খেই হারিয়ে যাবে। বিরতির পর যথারিতি ছবি আবার শুরু হলে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গল্প গিয়ে পৌছায় শেষ প্রান্তে। শেষে গিয়ে যেন আমি ধাক্কা খেলাম। কখন যেন গায়ের লোমকুপগুলো শিহরণ দিয়ে উঠে চোখের কোণে জল এসে গেলো। টপটপ করে জল পড়তে থাকলো। গল্প শেষে বুঝলাম আসল বিশ্বসুন্দরী কে?

আমি আগেই বলেছি
বিশ্বসুন্দরী
ছবি নিয়ে একান্ত নিজস্ব
অনুভূতি প্রকাশ

চয়নিকা চৌধুরী দিদির ছবি নিয়ে রিভিউ লেখার মতো দুঃসাহস এখনো আমার হয়নি। এখনও আমি অনেক ছোট মানুষ। মাত্র ডিরেকশন শিখছি। গুটিগুটি পায়ে টুকটাক কিছু নাটক নির্মাণ করছি। আমার কাজের যোগ্যতায় আমিও একজন সীমান্ত সজল হতে চাই।

আমি এককথায় বলবো :

স্যালুট
Rumman Rashid Khan
অসাধারণ গল্প লেখার জন্য
শেষে আপনি আমাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন
আমার পবিত্র চোখের জল আপনাকে দোয়া করবে।
আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে একজন
রুম্মান রশীদ খান আছেন।

Chayanika Chowdhury দিদি
আপনি সফল
আপনার জন্য মন থেকে প্রার্থনা
শ্রদ্ধা ভালোবাসা

দূর থেকে যারা মন্তব্য করেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকলো আমাদের দেশের ছবি স্বপরিবারে হলে গিয়ে দেখুন। আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখুন।

আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে আজ ছবি দেখার পর বিশ্বসুন্দরী ছবির প্রাণশক্তি রুম্মান রশীদ খান ভাইকে উপস্থিত পাওয়া। অনেক মানুষের ভীড়ে অল্পকথায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অভিনন্দন জানিয়েছি। তাও মনটা খচখচ করছে ভালো করেতো প্রশংসা করা হলো না। তাছাড়া দিদিকেও কিছু বলা হলো না। তাই নিজস্ব অনুভূতিগুলো কিছু শব্দের গাঁথুনিতে প্রকাশ। এরমধ্যে রুম্মান ভাইকে অনেক অনুরোধ করে দুজন মিলে এই প্রথম একটা ছবি তুলেছি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল রুম্মান রশীদ খান এর স্ক্রিপ্টে ওয়াটার নামে একটি ঈদের বিশেষ নাটক নির্মাণের।

বিশ্বসুন্দরীর জয় হোক…

শুভেচ্ছান্তে…
সীমান্ত সজল
নির্মাতা
২১|১২|২০২০
সোমবার।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *