খেলা

অ্যান্ডারসনের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘সর্বস্বান্ত’

Share this:

(জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক- অরণ্য সোয়েব)-কুয়াকাটায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুই-ই দেখা যায়। শুক্রবার লর্ডসেও দেখা গেল একসঙ্গে সূর্য ওঠা এবং সূর্য ডোবা। ১৮৮ ম্যাচের যোদ্ধা জেমস অ্যান্ডারসন ৭০৪ উইকেট নিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের কপাট বন্ধ করে দিলেন। সূর্য অস্ত গেল টেস্ট ক্রিকেটে শীর্ষ উইকেট শিকারি পেসারের। আরেকজন গাস অ্যাটকিনসন। টেস্ট অভিষেকেই নিলেন ১২ উইকেট। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে নতুন সূর্যের উদয় হলো। যোগ-বিয়োগের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অসহায় আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তৃতীয়দিন লাঞ্চের আগেই লর্ডস টেস্ট হারল শোচনীয়ভাবে ইনিংস ও ১১৪ রানে। শুক্রবার তৃতীয়দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ চার উইকেট হারায় ৫৭ রানে।

কিন্তু প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের জয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে অ্যান্ডারসনের বিদায়। ১৮৮ ম্যাচ, ৩৫০ ইনিংস, ৪০ হাজারেরও বেশি বল করা, ২৬.৪৬ গড়ে ৭০৪ উইকেট, ৩২ বার পাঁচ উইকেট শিকার এবং টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ও শীর্ষ উইকেট শিকারি পেসার হিসাবে ক্যারিয়ারের ঝাপি বন্ধ করে দিলেন অ্যান্ডারসন অভিষেক টেস্ট খেলার ৭,৭২২ দিন পর। ‘আমার যা অর্জন, তা নিয়ে আমি গর্বিত,’ ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে স্কাই স্পোর্টসকে বলেন এই ইংলিশ পেসার। তার আগে লর্ডসে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাকে।

পেছনে পড়ে রইল ক্যারিবীয়দের করুণ হার। ম্যাচসেরা অ্যাটকিনসনের ১২ উইকেটের (৫/৬১ ও ৭/৪৭) কীর্তি, যা ১৮৯০ এর পর ডেব্যু টেস্টে কোনো ইংরেজ বোলারের সেরা নৈপুণ্য। ম্যাচ বল নিয়ে লর্ডস ছাড়ার সময় দর্শকদের সশব্দ অভিনন্দনের বৃষ্টিতে ভিজলেন অ্যান্ডারসন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ১২১ (অ্যাটকিনসন ৭/৪৫)। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩৭১ (জ্যাক ক্রলি ৭৬, ওলি পোপ ৫৭, জো রুট ৬৮, হ্যারি ব্রুক ৫০, জেমি স্মিথ ৭০। জেডেন সিলস ৪/৭৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ১৩৬ (মিকাইল লুইস ১৪, অ্যালিক আথানাজে ২২, জেসন হোল্ডার ২০, গুদাকেশ মোতি ৩১*। জেমস অ্যান্ডারসন ৩/৩২, গাস অ্যাটকিনসন ৫/৬১)।

ফল : ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১১৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : গাস অ্যাটকিনসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *