সম্পাদকীয়

সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

Share this:

(জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক- অরণ্য সোয়েব)-চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রোববার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরপরবর্তী প্রেস কনফারেন্স রোববার বিকাল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েসও এ তথ্য জানিয়েছেন।সাধারণত কোনো দেশ সফর শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সফরসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সর্বশেষ গত ২৫ জুন ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে গত ৮ জুলাই দেশটিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ জুলাই পর্যন্ত অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।

সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশ ২১টি দলিলে স্বাক্ষর করে এবং ৭টি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে এ দিন সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চীনের প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।

সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০৪) গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ৭টি ঘোষণাপত্র ও ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপলে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এসব সমঝোতা ও ঘোষণাপত্র সই হয়। এর আগে সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লি কিয়াং।

সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে— ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, চায়না ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএফআরএ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংকিং ও বীমা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ থেকে চীনে তাজা আম রপ্তানির জন্য উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত (ফাইটোস্যানিটারি) উপকরণ বিষয়ে একটি প্রটোকল, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহায়তা ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহায়তা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক।

এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশে প্রকল্পে চায়না-এইড ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের ‘সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা’ বিষয়ে আলোচনার একটি সাইনিং অব মিনিটস (কার্যবিবরণী) সই, চীনের সহায়তায় ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতু সংস্কার প্রকল্পের চিঠি বিনিময়, নাটেশ্বর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা পার্ক প্রকল্পে চায়না-এইড কনস্ট্রাকশনের সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা বিষয়ে চিঠি বিনিময়, চীনের সহায়তায় নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্প বিষয়ে চিঠি বিনিময়, মেডিকেল সেবা এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে একটি সমঝোতা স্মারক সই, অবকাঠামোগত সহযোগিতা জোরদারে একটি সমঝোতা স্মারক সই, গ্রিন অ্যান্ড লো-কার্বন উন্নয়ন বিষয়ে সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বন্যার মৌসুমে ইয়ালুজাংবু (ব্রহ্মপুত্র) নদীর হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য বাংলাদেশে দেওয়ার বিধিবিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন, একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *