শুভ জন্মদিন মশিউর রহমান মনির
উজিরপুর প্রতিনিধি : বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ৫ং শোলক ইউনিয়ন এর সাবেক সফল চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মনির।প্রাচীন পৌরাণিক একজন রাজা ছিলেন মাইডাস, যিনি হাতে যা ধরতেন তাই সোনা হয়ে যেতো। তবে এই যুগে মাইডাস না থাকলেও একজন মনির চেয়ারম্যান ছিলেন। সাবেক এই চেয়ারম্যান ততটাই জনপ্রিয় রয়েছেন যতটা তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ চেয়ারম্যানি জীবনে পেয়েছেন অত্র ইউনিয়নের জনগনদের ভালোবাসা।ইউনিয়নের ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোককথায় আজও বর্ণিত আছে যে ‘চেয়ারম্যান আসবে যাবে কিন্তু মনির চেয়ারম্যান সবসময় এর জন্য আছেন’।
মশিউর রহমান মনির কাজ করেছেন সবসময় ইউনিয়নবাসীদের জন্য। রাস্তাঘাট, পরিবেশ, সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে নানান সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। সফলতার পুরস্কার পেয়েছেন কাড়িকাড়ি, এ নিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন দীর্ঘবার।
তবে আজ খবরের শিরোনাম দেবার মত খবর হচ্ছে, আজ ১৬ ই ডিসেম্বর মশিউর রহমান মনির (সাবেক চেয়ারম্যান ৫ং শোলক ইউনিয়ন পরিষদ) এর জন্মদিন। বড় আয়োজন নয়, বরং পরিবার নিয়েই সারাবেলা কাটাবেন তিনি।
মশিউর রহমান মনির এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে।বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন আজ।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান জড়িয়ে আছেন বাংলাদেশের সমগ্র অস্তিত্বের সঙ্গে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। দেশের প্রধান ও প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এই চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।পাকবাহিনীর গণহত্যা ও প্রচন্ড নির্যাতনের মুখে জাতি যখন হতাশ ও বিভ্রান্ত, ঠিক তখনই আশার আলোকবর্তিকা হাতে এগিয়ে এসেছিলেন সেদিনের মেজর জিয়াউর রহমান। নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে আহবান জানিয়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার। তার সে ঘোষণা ও আহবান জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। হতাশা ও বিভ্রান্তি কাটিয়ে জাতি যুদ্ধে নেমে পড়েছিল। তিনি নিজেও যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানকে কেউ খাটো করে দেখলে ভাবতে হবে সে একজন মুর্খ, সে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানেনা এবং যে জানে কিন্তু অস্বীকার করে সে একজন জ্ঞান পাপী এবং সে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমান সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজী রেখে স্বাধীনতার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সেদিন জিয়ার অগ্রণী ভূমিকা এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানকে স্বীকার না করা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমানের অবদান অঙ্গাংগীভাবে জড়িত।
শেষ করে তিনি বলেন, এই মাসে জন্ম গ্রহণ করেছিলাম এটা ভেবে ভালো লাগে। সবাই আমার পরিবার ও ইউনিয়নবাসীর জন্য দোয়া করবেন। আজ কিছু বলব না আর।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ‘দক্ষিণের বার্তা ” থেকে অতিথি লেখক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন লেখালেখিতে।২০০৯ সালের পরে দৈনিক দেশের সংবাদ, কলমের কন্ঠ, মেট্রো নিউজ, সিটি টাইমস, সবশেষ ‘আলোর মুখ’ অনলাইনে হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এরপরে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক, ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। এবং রাজনীতিতে যুক্ত আছেন প্রায় তিন যুগ ধরে। সম্প্রতি মশিউর রহমান ‘ডেইলি বাংলাদেশ টাইম ‘ অনলাইন পত্রিকার সহকারী নিউজ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান।