এবার কোটিতে কন্যা, সজলের অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক
এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল আবদুন নূর সজল অভিনীত জ্বীন- ৩ সিনেমার কন্যা শিরোনামের গানটি। গানটি রীতিমতো সাড়া ফেলে এবং ঝড়ের বেগে গানটি ভাইরাল হয়। বাংলাদেশের প্রথম সারির সমস্ত নায়ক- নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের গানটি ভালো লাগার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এমনকি তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার গানের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হাইপ ছিল ‘কন্যা’ শিরোনামের গানটি। গানটি মুক্তির তিন-চারদিনের মাথায় ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের ট্রেন্ডিংয়ে নাম্বার ওয়ান হিসেবে দখল করে নেন। জ্বীন সিনেমার সিকুয়েল তৃতীয় কিস্তি জ্বীন-৩ সিনেমার গান। সেই গানের শিরোনামে ছিলো কন্যা, লাইনটা এভাবে অনেকটা পথে পথে হাসি মেখে, ফুলেরা ঘ্রাণ ছড়াল/উড়ে উড়ে কুহু সুরে, পাখিরা গান শোনাল’—এমন কথার গানের দৃশ্যায়নে উৎসবের ছাপ এঁকে জাঁকজমক করে তুলেছিল সবাইকে। সজলের পারফর্ম সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সর্বশেষ গানটি এক কোটি ভিউতে স্থান দখল করে নেন। এবারের ঈদে সিনেমার সেরা গান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বরবাদ সিনেমার চাঁদ মামা এবং দ্বিতীয় স্থান নিয়েছে আবদুন নূর সজল অভিনীত জ্বীন থ্রি সিনেমার কন্যা গানটি।

কন্যা গানটি সবার ভালোলাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই গানের কথা,সুর,পারফর্ম এবং বিগ বাজেটের অ্যারেঞ্জমেন্ট। জ্বীন থ্রি ঈদের একমাত্র সিনেমার গান যেটি ইউটিউব,টিকটক, এবং ইনস্টাগ্রামে একাধিকবার অবিকল করা হয়েছে।
গানের সাথে সাথে জ্বীন-৩ সিনেমা দেখেও দর্শক যেন মুগ্ধ হয়েছে। এবার ঈদে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ সিনেমাগুলোর গল্পে ভায়োলেন্স আর রেডঅ্যাক্টিং দেখা গিয়েছে। তারমধ্য দিয়ে জ্বীন- ৩ একটি আলাদা আবহাওয়া অন্যরকম একটি হরর ফিল দিয়েছে দর্শকদের। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই সিনেমায় সজলকে খুব পরিপাটি একজন অভিনেতা হিসেবে দর্শকরা খুঁজে পেয়েছে পর্দায়, এ যেন এক অন্যরকম সজল। তার অভিনয় নাচ গান দর্শকদের নজর কেড়েছে। তাকে নিয়ে সিনেমাপাড়ায় বেশ আলোচনা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সিনেমা নিয়ে লেখালেখি করে এমন বেশ কিছু গ্রুপে তাকে নিয়ে লিখতে দেখা গিয়েছে।
জ্বীন -৩ সিনেমা দেখে স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকদের কমন একটি উক্তি ছিল, সজলকে দেখে এক মুহূর্ত মনে হয়নি তিনি নাটক থেকে সিনেমা করতে এসেছেন। সজল নিজেকে ভেঙেছেন, তার উচিত সিনেমায় নিয়মিত হওয়া।

১৪ বছরের পুরাতন সিনেমার জনপ্রিয় গ্রুপ বাংলা সিনেমার সকল খবর এডমিন ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আদনান হক বিশাল এক পোস্টে সজলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন প্রিয় সজল ভাই আপনার জ্বীন-৩ দেখলাম এবং ঈদের আরো তিনটে সিনেমা দেখলাম।এরমধ্যে অন্যরকম একটি সিনেমা জ্বীন-৩ দেখলাম, যেটি পরিবার নিয়ে দেখার মত ছিল। আপনাকে এমন ন্যাচারাল উপস্থাপন করা যায় সেটি প্রথমবার দেখলাম। এর আগে জ্বীন দেখেছি আপনার আপনার দুটো ওয়েব ফিল্ম দেখেছি। ঈদে আরো চারটি সিনেমার গান শুনেছি কন্যার মত আর কোন গান আমার কাছে ভালো লাগেনি। ছোটবেলা থেকে আপনার নাটক বিটিভিতে বিজ্ঞাপন দেখি বড় হয়েছি। আপনি নিয়মিত কমার্শিয়াল ফিল্মে কাজ করুন ভাই। পরিচালকদের উচিত আপনাকে নিয়ে ভাবা এবং নিত্যনতুন গল্পে আপনাকে উপস্থাপন করা।
রুম্মান রশিদ খান লিখেছেন, Quick take
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মা: জ্বীন ৩’-এর যা কিছু ভালো:
পরিচালক কামরুজ্জামান রুমান
- বসুন্ধরা সিটি স্টার সিনেপ্লেক্সের ৩ নম্বর হল নিয়ে দীর্ঘদিন অভিযোগ ছিল আমাদের। পর্দা, শব্দ, আসন-সবকিছু। তবে এবার ‘মা: জ্বীন ৩’ দেখতে গিয়ে ৩ নম্বর হলটিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। সব অভিযোগ জলাঞ্জলি দিয়ে নতুনভাবে ধরা দিয়েছে হলটি। Wow experience.
- Cinema is all about escapism. লোমহর্ষক বা হরর গল্প দেখতে গিয়েছিলাম। ভয় পাইনি এতটুকু, তবে সবাই মিলে আনন্দ করেছি, এটাই বা কম কিসে?
- সজল ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। কেন জানি বড় পর্দায় তাকে সেভাবে এতদিন পাইনি। পেলেও অনিয়মিতভাবে। ‘মা: জ্বীন ৩’ সিনেমায় চরিত্র অনুযায়ী তার অভিনয় ছিল ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য। সজলকে বড় পর্দায় আরো নিয়মিত চাই।
- নূসরাত ফারিয়ার সঙ্গে সজলের ফ্রেশ জুটি দেখতে লেগেছে বেশ। নূসরাত ফারিয়াকে শেষ কবে কোনো সিনেমায় এত সুন্দরী লেগেছে, মনে পড়ে না। তার কস্টিউম ছিল রুচিশীল, নান্দনিক। নাচের দৃশ্যে বরাবরের মতই উজ্জ্বল ছিলেন ফারিয়া।
- ‘কন্যা’ গানটি শুরুতে গড়পড়তা মনে হলেও শুনতে শুনতে এই গানটিও মনে ধরেছে আমার। বড় পর্দায় যদিও বিরতির বেশ খানিকটা সময় পরে প্রতীক্ষিত গানটির আগমন হয়, তবে পর্দায় গান দেখাবার সময় দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা, ইমরান মাহমুদুলের সুর সংগীতে, প্রিয় জুটি ইমরান-কনা দারুণ গেয়েছেন। তবে গানের দৃশ্যায়ণে ‘শুভ নববর্ষ’র প্রসঙ্গ কেন এসেছে, গল্পে স্পষ্ট নয়।
- তানিয়া আহমেদ এই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। অর্থাৎ ‘মা’। তিনি ছিলেন এই সিনেমার সারপ্রাইজ। তাকে কাস্ট করার জন্য নির্মাতাদের বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। তানিয়া আহমেদ বরাবরই বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেন। এই সিনেমায় ‘মা’য়ের চরিত্রে তিনি দুর্দান্ত ছিলেন। সামনের দিনগুলোতে তার অভিনয় প্রতিভার আরো অনেক ঝলক দেখতে চাই বড় পর্দায়।
রাফেজা খাতুন এক ভক্ত বাংলা সিনেমা গ্রুপে লিখেছেন ভৌতিক ঘরানার সিনেমা #জ্বীন_৩
সজল-নুসরাত ফারিয়ার কেমিস্ট্রি খুব ভালো…
তাদের বোঝাপড়াটা সুন্দর….তানিয়া আহমেদ খুব ভালো করেছে…শেষ দৃশ্যে মনটা কেড়েছে….
সজল আলাদা ভাবে নজর কেড়েছেন…
পুরো সিনেমাটা সে একাই এগিয়ে নিয়ে গেছেন..
সজলের অভিনয়,লুক,এক্সপ্রেশন সিনেমাটিকে এক উচ্চমাত্রা এনে দিয়েছে….সিনেমার কন্যা ও ব্যবধান গানটি সেই লেভেলের সুন্দর….ফ্যামিলি নিয়ে দেখার মত একটি সিনেমা..

১০/৯ রেটিং দিয়ে সুমন শেখ নামে এক ভক্ত লেখেন
জিন -৩ দেখলাম, টিকেট পেতে এত কষ্ট হবে তা আগে ভাবিনি।অনেক কষ্ট করে টিকেট পেলাম।
বেসিক্যালি কন্যা গানটির জন্যই যাওয়া। কন্যা গানটি খুব ভালো লেগেছিল। তাই ভাবছিলাম কন্যা গানটি বড় পর্দায় দেখতে চাই।
যাবার পর, গল্প বলার ধারনে, আটকে গেলাম পুরো ছবিতে। বেশি বলতে গেলে পুরো গল্প বলা হয়ে যাবে, তাই আর বেশি বলতে চাই না।কিন্তু ছবিটি এক ধাক্কায় শেষ হওয়ার মতো একটি ছবি। ভালো লেগেছে আমার।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সজল নুরের অভিনয় । বিশেষ করে, নুসরাত ফারিয়াকে কিলিং এর দৃশ্যে, সজল ফারিয়া দুজনেই এই দৃশ্যটিতে খুব ভালো অভিনয় করেছে। রোমান্টিক জায়গা থেকে হঠাৎ করে, একটা ডেভিল রূপ চলে আসে সজলের উপর,। ট্রানজেশনটা তিনি দুর্দান্ত করেছেন।এবং সংলাপ গুলোও মনে ধরেছে। আর বাকি সকল অভিনেতা অভিনেত্রীও খুব ভালো করেছেন।
তানিয়া আহমেদ, নাদের চৌধুরী, ও বাচ্চা ছেলে সুমনের কারণে ছবিটি প্রাণ ফিরে পায়। নির্মাতা কামরুজ্জামান রোমান আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার নির্মাণ খুব ভালো।
কিন্তু বিজিএম আরো ভালো হলে ভালো হতো, কালার গ্রেডিং আর ভালো হওয়া উচিত ছিল। (কিন্তু খারাপ না। মোটামুটি) ফারিয়া ওনার লুকের সাথে ডায়লগ এর কোনো মিল নেই।
এইদিকে খেয়াল করা উচিত ছিল।সব মিলিয়ে ছবিটি একবার হলেও সবার দেখা উচিৎ।
পারসোনাল রেটিং ঃ ৯/১০

নুসরাত জাহান নামে এক সিনেমা ভক্ত তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জ্বীন- থ্রি নিয়ে একটি ব্যক্তিগত রিভিউ শেয়ার করেন তিনি লেখেন,
সিনেমা: #জ্বীন ৩
জ্বীন সিনেমা টা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম অবশেষে দেখে নিলাম। এক বন্ধুর মাধ্যমে টিকিট পেলাম সেটা ও অগ্রিম টিকেট কেটে রাখতে হয়েছে।
সুমন নামের একটি ছেলে কে নিয়ে সিনেমাটির গল্প।
কাহিনীর জট খুলার আশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দর্শকদের আকর্ষন ধরে রাখতে সক্ষম। প্রতিটা দৃশ্য খুব যত্ন করে বানানো হয়েছে।
নজর কেড়েছে সজল নূর সব কিছু ছাপিয়ে সজলের অভিনয় চোখে পড়ার মতো।তার ডায়লগ ডেলিভারি,লুক সেট,বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, এক্সপেশন খুব ক্লাসি। সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সে একটি রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে সজলকে যে অদৃশ্য শক্তি আক্রামন করে সেই সিন গুলো ভয়ংকর।
সজলের ও ফারিয়ার একটা সিন দেখে মনে হয়েছে সিন টা রোমান্টিক হবে কিন্তু সেটা যে এতটা ভয়ানক হবে ভাবতে পারি নাই । তা ছাড়া মধ্যে রাতে যখন সজল নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার চলে যাওয়ার দৃশ্য টা গা ছমছম করার মত ছিল। সজল নূর আপনি যে একজন জাত অভিনেতা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নুসরাত ফারিয়া সাবলীল অভিনয় ছিল। তবে তার ডায়লগ ডেলিভারি দিকে খেয়াল রাখা উচিত ছিল।তানিয়া আপা মায়ের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তার লাস্ট সিন টা “একজন মা সন্তানের জন্য কি করতে পারে তানিয়া আপা সেটা দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন।সুমন চরিত্রে বাচ্চা ছেলেটার অভিনয় এক কথায় অসাধারণ ছিল। কিছু সিন মনে গেঁথে আছে। তার চরিত্রের সাথে নিজেকে দারুন প্রেজেন্ট করেছে।
মিউজিক হরর ফিল্মের প্রধান শক্তি। জ্বীন ৩ এর বিজিএম ও টেকনিক্যাল দিক গুলো উন্নত ছিল আগের মুভি গুলোর থেকে। তবে আরো ভাল করতে পারতো।
বাহিরের দেশ গুলোর মত হরর মুভি আশা করা ঠিক হবে না। তবে বাংলাদেশর হরর মুভি হিসেবে অনেক ভালো করেছে। আমাদের দেশে সাধারণত এই রকম হরর সিনেমা দেখা যায় না। জ্বীন ৩ এর পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি রহস্য ঘেরা হরর সিনেমা জন্য।
রিধি নওশীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া এক স্টুডেন্ট ফেসবুকে রিভিউ করেন
#জ্বীন ৩
সজল নূরের অভিনয় চোখে পড়ার মতো।তার ডায়লগ ডেলিভারি,লুক সেট,বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, এক্সপেশন চোখ ধাঁধানো।
সজলকে যে অদৃশ্য শক্তি আক্রামন করে সেই সিন গুলো ভয়ংকর।নাদের চৌধুরী ও তানিয়া আপার অভিনয় ভালো ছিল। বাচ্চা ছেলে সুমন দুর্দান্ত ছিল। এলাহী চরিত্রে অভিনয় দারুন ছিল।
সজল ও নুসরাত ফারিয়ার কন্যা গানটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, গানটি পর্দায় দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।

আরফান মিতা নামে একজন সংবাদকর্মী সিনেমাটি দেখে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, তিনি লেখেন
‘অভিনয়ের ইন্সটিটিউট’ বলা যেতেই পারে Abdun Noor Shajal ভাইকে। আজ ‘জ্বীন থ্রি’ দেখলাম। পুরো সিনেমাটা একা এক হাতে টেনেছেন সজল ভাই, এরপর বাচ্চা ছেলেটা । এছাড়া বাকি সবাই ছিলেন শো-পিস। বিশেষ করে নুসরাত ফারিয়া। কেন কি কারণে নুসরাত ফারিয়া এই চরিত্রটা বেছে নিলেন কামব্যাক করার জন্য, আমার বোধগম্য নয়। আর তার অভিনয়????? তবে নুসরাত ফারিয়াকে দুটো গানে দেখতে ভীষণ মিষ্টি লেগেছে। ‘সুমন’ চরিত্রে অভিনয় করা ছোট্ট ছেলেটা টপনচ পারফর্মেন্স করেছে , এই ছেলেটার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। প্রফেসর চরিত্রের অভিনেতার লুক আর ডায়লগ ডেলিভারি ভালো। তানিয়া আহমেদ আপা শেষ দৃশ্যটায় ছক্কা মারলেন, তখন আমার নিজের মায়ের মুখটা চোখের সামনে ভাসছিল, চোখের পানিতে একাকার হয়েছি। আশির দশকের প্রথম সারির নায়ক সুব্রতকে কেন এক সিনে অগুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হবে? এত কিছুর পরেও বলবো সজল ভাই একাই সিনেমাটা টানলেন। তাঁর ডায়লগ ডেলিভারি, ভয়েজের আপস এন্ড ডাউনসের খেলা চমৎকার। পরিমিতি বোধটা সজল ভাইয়ের ভীষণ। সিনেমার গান ‘কন্যা’ যখন এলো তখন ‘my heart danced with joys,’ গানটা শুনতে যেমন কানের আরাম তেমনি দেখতে চোখের আরাম, হুক স্টেপসগুলো দারুণ। নির্মাতা Kamruzzaman Roman ভাইয়ার নির্মানশৈলীর ভক্ত হয়ে গেলাম আমি। শেষ দৃশ্যটার অ্যারেঞ্জমেন্ট আর পরিশ্রম স্ক্রিনে বুজা গেছে। চারদিকে বৃত্তাকার আগুন, মাঝখানে বসে বাচ্চাটার সাদা চোখের খেলায় গুজবাম্প হয়। বিজিএম, সম্পাদনা, কালার কারেকশন, লোকেশন, ক্যামেরার কাজ সবই বেস্ট। সিনেমার শুরুতেই কবরের ভিতরে বাচ্চা ছেলেটাকে দুই পাশের মাটি যখন তেড়ে চাপা দেয়, ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছিল আমার। সিনেমাটা দেখে ভয় পেয়েছি, আর এটাই ডিরেক্টরের স্বার্থকতা। ঢাকাই সিনেমায় হরর সিনেমার সংখ্যা খুব কম। Abdul Aziz ভাইকে ধন্যবাদ সুনিপুন কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করার জন্য এবং দেশীয় অডিয়েন্সদের হরর সিনেমার ক্ষুধা মিটানোর জন্য। শেষে এসে আরেকটা প্রশংসা করতেই হয়-সিনেমার বেশকিছু দৃশ্যে পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াত বা সূরা যিনি ডাবিং করেছেন তাঁর ভয়েজ বলিষ্ঠ, শ্রুতিমধূর, শুনতে বেশ অন্তরে শান্তি লাগে। আমার ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমা ভীষণ ভালো লেগেছে, আপনারা এই ঈদে সিনেমাহলে গিয়ে সিনেমাটা দেখে আসুন। আবারও বলি সজল ভাইয়ের অভিনয় নিঁখুত আর নুসরাত ফারিয়া মিস কাস্টিং। নুসরাত ফারিয়ার মুখে আঞ্চলিক সংলাপ, অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলাটা শুনতে বিশ্বাসযোগ্য লাগে না, তিনি হয়ত বেস্ট দেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু!! এছাড়া আর কোন ত্রুটি চোখে পড়েনি। স্যালুট ডিরেক্টর কামরুজ্জামান রোমান ভাইকে, আমি সত্যিই রোমান ভাইয়ের ভক্ত হয়ে গেলাম। #Jinn3Movie।
Jaaz Multimedia, Affan Mitul (31st March 2025)